নিসচা’র কর্মীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ প্রতিক সিরামিকস’এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে
ধামরাই প্রতিনিধিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা’র) সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন (৩৫) কে মারধর ও টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে প্রতিক সিরামিক্স কারখানার ভিতরে নিয়ে টাকা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং আইডি কার্ড নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় নিসচা’র ধামরাই শাখার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া বাদী হইয়ে ওই গাড়িতে থাকা অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সোমবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ইসলামপুর এলাকা থেকে ইমরানকে মারধর করে এবং ধামরাই উপজেলার ডাউটিয়া এলাকার প্রতিক সিরামিক্স কারখার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী, মোঃ ইমরান হোসেন ধামরাই পৌরসভার লাকুরিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে। ইমরান হোসেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সহ-সভাপতি পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ইসলামপুর অংশে যানজট নিরসনে কাজ করাকালীন প্রতিক সিরামিক্স কারখানার ১টি সাদা সিলভার রংয়ের মাইক্রোবাস যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৩৪৬৮ গাড়ীটি মহাসড়কে রং৷ সাইড দিয়ে চলাচল করলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী মোঃ ইমরান হোসেন (৩৫) বাধা প্রদান করে এবং সঠিক নিয়মে গাড়ী চালানোর অনুরোধ জনায়। এ সময় উক্ত গাড়ীতে থাকা অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন লোক তার গতিরোধ করে তার উপর আক্রমন করে এবং উক্ত অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাকে এলোপাথারীভাবে মাইরা মুখমন্ডল, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে ইমরান হোসেন কে ঘটনাস্থল থেকে টানাহেঁচড়া করে জোর পূর্বক উক্ত মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ধামরাই উপজেলার ডাউটিয়া এলাকার প্রতিক সিরামিক্স এর ভিতরে নিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ১০,০০০/- টাকা, সংগঠনের আইডি কার্ড, মোবাইল ফোন, ব্যাগের ভিতরে থাকা ১টি ল্যাপটপ সহ অন্যান্য জিনিস পত্রাদী রেখে দিয়ে উক্ত বিবাদীরা এই ঘটনা কাউকে জানালে খুন করিয়া ফেলবে বলে হুমকি দেয়। নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই শাখার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্ধায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে সারা দেশে আমরা আন্দোলনের ডাক দিবো। নিরাপদ সড়ক চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব লিটন এরশাদ বলেন, এ ঘটনা নেক্কারজনক এবং নিসচা কর্মীর উপর এমন আক্রমণের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিক সিরামিক্স কারখানার এডমিন আকরাম হোসেন জানান, তাকে কোন মারধর করা হয়নি। গাড়িতে থাকা লোকজন তার কাছে গ্লাসের জরিমানা চাইলে তিনি নিজে থেকেই আমাদের কারখানায় এসে ১০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন। ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কারখানায় গিয়েছিলাম। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি যে গাড়ির গ্লাস ভাঙার জরিমানা হিসেবে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন তারা।