ধামরাইয়ে হেলে পড়া ৪ তলা ভবনটি ঘিরে আতঙ্ক, তদন্ত টিম গঠন
ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় চারতলা হেলে পড়া ভবনটিকে ঘিরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হেলে পড়া ভবনটির পৌরসভার কোনো অনুমোদন নেই। আর ভবনটি করা হয়েছে আবাসন প্রকল্পের রাস্তার জমিতে। অনেকে রাস্তাটি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। হেলে পড়া ভবনটির ব্যাপারে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪ চার কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে হেলে পড়া ভবন ও পাশের ছয়তলা ভবনটি আপাতত পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন করা হয়েছে বলে জানান পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির। গতকাল দুপুরে সরজমিন দেখতে এসে পৌরসভার মেয়র এসব কথা জানান। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত বৈদ্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় দুই বছর আগে দন্ত চিকিৎসক জিয়াউর রহমান সিকদার ৩ শতাংশ জমির ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করে আবাসিক হিসেবে ভাড়া দেন।
তার ভবন ঘেঁষেই শিরিন মমতাজ নামে এক নারী ৬ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
চারতলা ভবনটি শনিবার বিকালে পূর্ব পাশের ওই ৬ তলা ভবনের সঙ্গে হেলে পড়ে। এরপরই দু’টি ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’টি ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলেন। রোববার এ ব্যাপারে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান ধামরাই পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন জানান, হেলে পড়া ৪ তলা ভবনটি আবাসন প্রকল্পের রাস্তার জমিতে। এ ছাড়া পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে করা হয়েছে। তাই পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষ দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি। ভবন মালিক দন্ত চিকিৎসক জিয়াউর রহমান সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার জমি হলেও আমি আবাসন প্রকল্পের মালিকদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছি। আমার এ ভবনের অনুমোদন নেই। তবে তার পাশের ছয়তলা ভবনের অনুমতি রয়েছে। পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির জানান, হেলে পড়া ভবনের পৌরসভার কোনো অনুমোদন নেই। শুধূ হেলে পড়া নয় পৌরসভার কোনো অনুমোদনহীন ভবন থাকতে পারবে না। ভবন অনুমোদন শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।