ধামরাইয়ে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে  মানববন্ধন

 ধামরাই( ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে  কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগি বোরহান উদ্দিন মেম্বার এর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার(১৬ মার্চ) সকালে ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবার  ও এলাকাবাসীর  যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও মেম্বার বোরহান উদ্দিনের জন প্রতিনিধি থেকে অপসারণ ও প্রত্যাচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে লোকজন। জানা যায়, চোরের অপবাদ দিয়ে রাস্তা থেকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে জোর পূর্বক তুলে চেয়ারম্যানের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেট বন্ধ করে হাশিম আলী নামের এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেন  আলোচিত ও সমলোচিত ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিন মেম্বার। এ ঘটনায় ৫দিন পর ৫ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন(৪৫), চেয়ারম্যানের দুই ছেলে মমিন (২৭) ও  রিপন (৩২) এবং  আব্দুল হকের (৫৪) নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী হাসেমের ভাই জাহের আলী। মার্চের ৫ তারিখে হাসেম আলীর উপর এমন অমানুষিক নির্যাতন চালায় লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনসহ চেয়ারম্যানের ছেলেরা। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে সাহস পায় নি। পরে ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ড এর চেয়ারম্যানের নির্যাতনের একটি ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর থানায় মামলা নেন। কিন্তু চেয়ারম্যাননহ ৫ জনই আগাম জামিনে এসে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দেয় বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী হোসনেআারা ও মামলার বাদী জাহের আলী বলেন, চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জোরপূর্বক আমার ভাইয়ের বাড়ী দখল করতে চায়। দির্ঘদিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি কিছুদিন আগে আমার ভাই হাসেমকে মেরে ফেলার জন্য রাস্তা থেকে উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমরা শুনার পর চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে আমাদের মারধর করে ও গেটের বাইরে বের করে দেয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ভাইকে উদ্ধার করি। এখনো হাসেম ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।