বিয়ে করতে চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা
শহিদুলের সঙ্গে সাত-আট বছর আগে মোবাইলে পরিচয় হয় সালমার। এরপর চলে প্রেমের সম্পর্ক। শহিদুলের বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে জানতে পেরে সালমা তাকে বিয়ে করতে চাপ দেন। কৌশলে তাকে ঢাকায় ডেকে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করেন শহিদুল। এ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি শহিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১১ জুন রাত ৮টার দিকে ৯৯৯-এর মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কোনাখোলা থেকে রুহিতপুরগামী মেইন রোডের উত্তর পাশে পূর্বাশুরস্থ একটি কনস্ট্রাকশনের পরিত্যক্ত জমির জঙ্গলের ভেতরে সালমার লাশ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এসপি বলেন, ঘটনার একদিন আগে সালমা বরিশালে শহিদুলের গ্রামের বাড়িতে যান। সালমা জানতে পারেন, শহিদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। একথা জানার পর শহিদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন সালমা। তারপর শহিদুল তাকে কৌশলে ঢাকায় আসতে বলে। ঢাকায় আসার পর শহিদুল ঘটনার দিন বিকাল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সালমার সঙ্গে দেখা করে। ওই দিন রাত ১০টার পর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শহিদুল পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সালমাকে কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসে।
আসাদুজ্জামান বলেন, শহিদুল জঙ্গলে নিয়ে প্রথমে সালমাকে ধর্ষণ করে। পরে সালমার সঙ্গে থাকা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। মরদেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, এজন্য ইটের টুকরো দিয়ে মুখ থেতলে চেহারা বিকৃত করে দেয় শহিদুল। এরপর শহিদুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলার পর অভিযান চালিয়ে সোমবার নারায়ণগঞ্জ থেকে শহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়।