বিনোদনলিড নিউজ

প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব দূরের কথা, আকবর কখনো ফোনও দেননি : পূর্ণিমা

রিকশাচালক থেকে গায়ক খ্যাতি; তারপর হারিয়ে যাওয়া, শেষে নিঃস্ব হয়ে বিদায়। এই ছিল ইত্যাদিখ্যাত গায়ক আকবরের লাইফলাইন। আকবরের এই লাইফলাইনে হঠাৎ করেই জড়িয়ে যায় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার নাম।

আকবরের প্রথম মৌলিক গান ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেই সুবাদে আকবরের সঙ্গে পূর্ণিমার নাম জড়িয়ে নানা কথাও ছড়ায়। আকবর নাকি পূর্ণিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, করতে চেয়েছিলেন বিয়েও; এমন কথাও শোনা গেছে।

তবে এসব বিষয় নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও আকবরের মৃত্যুর পর তা নিয়ে কথা বললেন পূর্ণিমা। পরিষ্কার করলেন সব বিষয়। পূর্ণিমা সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘অনেকদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন আকবর ভাই। আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছেন। দোয়া করি, আল্লাহ তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন। আকবর ভাইয়ের সঙ্গে আমার নিয়মিত কখনো কাজ হয়নি। ২০০৩ বা ২০০৪ সালে তার সঙ্গে একটি মাত্র কাজ করা হয়েছে। মাত্র একটি মিউজিক ভিডিও করেছি তার সঙ্গে। আকবর ভাই সে সময়ে ইত্যাদিতে গান করে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।’

পূর্ণিমা আরও বলেন, ‘হানিফ সংকেত স্যার তাকে দিয়ে একটি মৌলিক গান করালেন। সে সময় হানিফ সংকেত স্যারের মাধ্যমেই আকবর ভাইয়ের মিউজিক ভিডিওতে আমার কাজ করা। সেটাও অনেক জনপ্রিয়তা পায়, অনেক সাড়া ফেলে। তারপর আর কখনো তার সঙ্গে আমার কাজ করা বা কথা বলাও হয়নি। আর যেহেতু সেটা তার প্রথম কাজ ছিল, তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ইতস্তত বোধ করতেন, লজ্জাও পেতেন। তবে কাজের সময় আমি তাকে সহযোগিতা করেছি এবং হানিফ সংকেত স্যারও সাপোর্ট দিয়েছেন কাজটি সম্পন্ন করতে। সবশেষে ভালো একটা কাজ হয়েছিল এবং কাজটি দেশব্যাপী দর্শক মহলে অনেক জনপ্রিয়তা পায়।’

এদিকে আকবরের প্রেমের প্রস্তাবের গুঞ্জনের বিষয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘এগুলো খুবই বাজে কথা এবং খুবই নোংরা টাইপের বিষয়। এগুলো বানানো এবং একদমই মিথ্যা কথা। উনি (আকবর) ওনার জায়গা থেকে মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। আমার কারণে ওনার সংসার ভেঙেছে, প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন বা বিয়ে এগুলো কিছুই না। আমার ফোনে কখনোই ওনার (আকবরের) নম্বর ছিল না। ওনার ফোনেও আমার নম্বর থাকার কথা না। থাকলেও কখনো তিনি আমাকে কল দেননি। ওই অনুষ্ঠানের পর আমার সঙ্গে ফোনে ওনার কথাই হয়নি।’

গতকাল রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গায়ক আকবর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *