আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনী

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। তবে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছেড়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলে। আগের তুলনায় যুদ্ধের উত্তাপ আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও রাশিয়ার সর্ব-সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে উত্তেজনা বাড়তে পারে আরও।

মূলত ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনী। মস্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই মহড়া চলছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, মস্কোর উত্তর-পূর্বে ইভানোভো প্রদেশে মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনী।

মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়েছে, চলমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে প্রায় এক হাজার রুশ সেনা। এছাড়া ইয়ারস আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারসহ শতাধিক যানবাহন ব্যবহার করে মহড়া চালাচ্ছে তারা।

এর আগে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মহড়া চালিয়েছিল রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের একটি এলাকায় কৃত্রিম ওই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মহড়া চালানো হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেসময় এক বিবৃতিতে জানায়, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যে অবস্থিত বাল্টিক সাগরের এই ছিটমহলে কৃত্রিম ‘ইলেক্ট্রনিক লঞ্চ’-র মাধ্যমে পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন ইস্কান্দার ভ্রাম্যমাণ ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলার অনুশীলন করেছে সামরিক বাহিনী।

মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, বিমানঘাঁটি, সুরক্ষিত অবকাঠামো, সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রতীকী শত্রুর কমান্ড পোস্টের অনুকরণে তৈরি লক্ষ্যবস্তুতে একক এবং একাধিক হামলার অনুশীলন করে সেনারা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যেটাকে কার্যত অনেকে পারমাণবিক হামলার হুমকি বলে মনে করেছিলেন।

এছাড়া গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিকে বাস্তবসম্মত বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *